আবু তাহের তারেক ভাল করেই জানেন এখন ভাল বইয়েরও কাটতি নেই। বিশেষ করে কবিতার বইয়ের। তবুও কিসের যেন তাগিদে লিখেন। হয়তো জন্মভূমির প্রতি টানের কারণেই কিংবা………… যাহোক তিনি কেন কবিতা লিখেন তার থেকে জরুরী তিনি কি লিখেন।
“আম্মারে লইয়া যতইতি ইয়াদ
আম্মা নদী- আবু তাহের তারেক
আম্মারে ফোন দিলে খান্দইন
তানরে ফোন না দিলে খান্দইন
আম্মারে লইয়া যতইতি ইয়াদ খান্দনে ভরা”
সিলেটী একসেন্টে আবু তাহের তারেকের কবিতা নতুন স্বাদের জোগান দেয়। মানে সহজ করে বললে তার কবিতার টেস্ট ডিফরেন্ট। আঞ্চলিক উচ্চারণের কবিতা লিখলেও তার কবিতা আদতে নাগরিক কবিতা। শুধু ভাব বা বিষয়ের কারণে নাগরিক কবিতা তা নয় বরং উপস্থাপনও নাগরিক। শুধু আঞ্চলিক উচ্চারণের কারণে তাকে অই অঞ্চলের কবি বলা যায়না। তবে নাগরিক কবি হিসেবে তিনি প্রশংসার দাবীদার। ছোট ছোট পঙক্তিতে কবিতাগুলোর দৈর্ঘ্য কিংবা প্রস্থ কোনটাই খুব বেশি নয়, কখনো নষ্টালজিক স্মৃতি, কখনো জীবনের ছোট ছোট অনুভূতি আবার কখনো প্রবাসে থাকার আক্ষেপ- বলতে গেলে সহজ-সরল কবিতা। কখনো কখনো তাকে মনে হবে ইসলামিস্ট আবার কখনো সহজিয়া! তবে শব্দচয়নে ছাড় দেওয়া হয়নি আম্মানদীতে! এটা চমৎকার।
আম্মা নদী
আবু তাহের তারেক
পৃষ্ঠা সংখ্যা- ৯৬
মূল্য-২৪০টাকা
বুকিশ পাবলিকেশন
কখনো কখনো কবিতা হয়ে উঠেছে ক্রিটিক, রাষ্ট্রের- পুঁজি নিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞানের- যাবতীয় কিছুর। আবার কখনো কখনো কবিতায় ফুটে ওঠে লিসবনের ফুল- কবি হিসেবে আবু তাহের তারেক তানর কবিতা বিচিত্রতা আনতে পেরেছেন। একজন পাঠক হিসেবে এ ধরনের কবিতা পড়তে ক্লান্তি আসার কথা না। বাকিটুকুর বিচারের দায়িত্ব পাঠকের। ‘আম্মা নদী’ কালের স্রোতে টিকবে নাকি হারিয়ে যাবে সেই বিচার পাঠকই করুক।
Leave a Reply